স্টাফ রিপোর্টারঃ
সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে মানুষের জন্য কাজ করছে বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি গর্বিত সদস্য। নাগরিকদের নিরাপদে ঘরে রাখতে পেশাদারিত্ব ও মানবিকতার এক অনন্য নজীর স্থাপন করেছেন তারা। বুধবার পর্যন্ত এ নিয়ে পুলিশে বাহিনীতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৯২৬ জন।
জানা গেছে এরমধ্যে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে গুলশান বিভাগের এডিসি হতে কনস্টেবল পর্যন্ত ৩২ জন পুলিশ সদস্য করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন।
করোনা আক্রান্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি ) গুলশান বিভাগ। তাদের কাছে পৌঁছানো হচ্ছে মৌসুমী ফলসহ নানা উপহার সামগ্রী। একইসঙ্গে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিয়মিতভাবে শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
আক্রান্তদের অনেকেই কোয়ারেন্টিনে আছেন। এখনো আক্রান্ত হননি এমন পুলিশ সদস্যদের মনোবল ধরে রাখতে প্রেরণাদায়ক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন গুলশান বিভাগ পুলিশের ডিসি সুদীপ কুমার চক্রবর্তী। স্বশরীরে হাজির হচ্ছেন বিভিন্ন স্পটে দায়িত্ব পালন করা পুলিশ সদস্যদের কাছে। তার উদ্যোগে এরইমধ্যে গুলশান ডিভিশনের বনানী এবং গুলশান থানায় স্থাপন করা হয়েছে জীবাণুমুক্তকরণ বুথ।
ডিসি সুদীপ চক্রবর্তী জানান, নিম্ন মধ্যবিত্ত কিংবা মধ্যবিত্ত যারা হাত পাততে পারেন না এরকম প্রায় ১০ হাজার পরিবারকে পরিচয় গোপন রেখে বাসায় গিয়ে গত ১ এপ্রিল থেকে খাদ্য সহায়তা পৌঁছানো হয়েছে। বর্তমানে তা অনেকেই অনুসরণ করছেন। বর্তমানে প্রতিদিন অসংখ্য দুস্থদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। নিয়মিতভাবে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। কাঁচাবাজার ও সুপারশপে প্রবেশ বহির্গমন একমুখী করা হয়েছে। সুপারশপ, ওষুধ ও নিত্যপণ্যের দোকানে স্টিকার কিংবা রং দিয়ে সামাজিক দূরত্ব নির্দিষ্টকরণ করা হয়েছে।
তিনি জানান, মানবিক কার্যক্রমের পাশাপাশি অপরাধ দমনের ক্ষেত্রেও আমরা আগের মতোই সক্রিয়। অব্যাহত রয়েছে রোবাস্ট কনভয় প্যাট্রোলিং, শক্তিশালী চেকপোস্ট, মোবাইল প্যাট্রোলিং, উচ্চপ্রযুক্তিসম্পন্ন সিসিটিভি মনিটরিং, বিভিন্ন সোসাইটিকে সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে কার্যকর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার কার্যক্রম।
জানা গেছে, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহায়তায় বিভিন্ন বাসায় ওষুধ ও নিত্যপণ্য পৌঁছানো হচ্ছে। করোনাভাইরাস আক্রান্তদের হাসপাতালে পাঠানো, আবাসস্থল সংলগ্ন এলাকা লকডাউন ও আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতে সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়েও সক্রিয় গুলশান বিভাগের সদস্যরা।